নিজস্ব প্রতিনিধি. পেকুয়া :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় পাহাড় কাটা ও খাল ভরাটের ঘটনায় সরেজমিন তদন্ত করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। তদন্তে এসব ঘটনার সত্যতা পেয়েছে জানায় তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এ অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানায় তারা।
মঙ্গলবার (১৬জুুলাই) দুপুরে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের দুটি আলাদা স্থানে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার শাখার পরিদর্শক মাহবুবুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল কর্মকর্তা এ তদন্ত করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টইটং বাজার এলাকার টইটং খাল ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ ও বনকানন, কাছারী পাহাড়, সংগ্রামের জুম ও মধুখালীতে পাহাড় কেটে মাটি ও বালু পাচার করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সরেজমিনে তদন্ত করে পরিবেশ অধিদপ্তর।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ক্ষমতার অপব্যবহার করে টইটং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এক নেতা টইটং খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ ও ইউনিয়নের কাছারী পাহাড়, বনকানন এলাকায় অন্তত পাঁচটি পাহাড় কেটে মাটি লুট করেছেন।
অভিযোগকারী নুরুল আমিন বলেন, ওই প্রভাবশালী আ’লীগ নেতার মদদে একই ইউনিয়নের মেহেদী, শাহদাত, পারভেজ, নেজাম, আবু ওমর, আব্দু জলিল, খোকন এবং নবী হোসেনও দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে পাহাড় কেটে মাটি লুট করে আসছিল। তাদের এ অপরাধের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আমি পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
তদন্তের সত্যতা নিশ্চিত করে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের পরিদর্শক মাহবুবুল ইসলাম বলেন, পাহাড় কাটা ও প্রবাহমান খাল ভরাটের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: